[ড্রাইভিং লাইসেন্স] শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (প্রথম অংশ :ব্যক্তিগত তথ্য )

[ড্রাইভিং লাইসেন্স]
শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর
ম কিভাবে পূরণ করব? (প্রথম অংশ :ব্যক্তিগত তথ্য)

অনেক আবেদনকারীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম পূরণের পদ্ধতি নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে দুটি অংশ। প্রথম অংশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও দ্বিতীয় অংশে ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। 

প্রথম অংশ (ব্যক্তিগত তথ্য)

১। কার বরাবর বা কোথায় আবেদন করবেন?


আপনি যে এলাকায় বসবার করেন অর্থাৎ যে ঠিকানা ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান সে এলাকা বিআরটিএ’র যে সার্কেল অফিসের আওতায় সে ঠিকানা এখানে লিকতে হবে। যেমন ধরুন আপনি ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে খিলতে হবে “মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬”। ঢাকা মেট্রোপলিটন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দারা বাদে অন্য সকল গ্রাহক যে জেলায় বসবাস করেন বা যে জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চান সে জেলার নাম লিখতে হবে। যেমন আপনি যদি গোপালগঞ্জ জেলায় বাস করেন এবং ঐ জেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনাকে লিখতে হবে “গেপালগঞ্জ”। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় থানাসমূহকে ০৩ (তিন) টি মেট্রো সার্কেলের আওতায় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আপনার এলাক কোন মেট্রো সার্কেলের আওতায় পরেছে তা নিচের ছক থেকে দেখে নিন:


(১) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এর  ঠিকানা হলো: মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]
(২) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ এর ঠিকানা হলো: ইকুরিয়া, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু(১ম বুড়িগঙ্গা সেতুর অপরপারে)। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]
(৩) ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ এর ঠিকানা হলো: দিয়াবাড়ি, তুরাগ, উত্তরা, ঢাকা। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লক করুন।]
(৪) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা বাদে ঢাকা জেলার গ্রাহকদের জন্য ঢাকা জেলা সার্কেল হবে তার ঠিকানা হলো: ইকুরিয়া, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সেতু(১ম বুড়িগঙ্গা সেতুর অপরপারে)। [লোকেশন ম্যাপের জন্য এখানে ক্লিক করুন।]

২। কোন ধরণের মোটরযান চালনার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চান?

শুধু মাত্র মোটর সাইকেল চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “মোটর সাইকেল”-এ  টিক দিন। শুধু মাত্র প্রাইভেট কার চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলে “হালকা মানের মোটরযান”-এ টিক দিন। যদি  মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কার বা হালকা মানের মোটরযান উভয় চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স চান তাহলে “মোটর সাইকেল” এবং “হালকা মানের মোটরযান” - এ দুটিতেই টিক দিন। যদি কোন বিশেষ ধরণের মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স চান তাহলে “অন্যান্য..”-তে টিক দিয়ে মোটরযানের ধরণ লিখুন।

৩। ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাইপ কি হবে? 
ড্রাইভিং লাইসেন্সের টাইপ দুই ধরনের (ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও (খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? : যখন কোন ব্যক্তি গাড়ি চালনা বা ড্রাইভিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চায় অর্থাৎ বেতনভোগী ড্রাইভার হতে চায় বা ভারার বিনিময়ে নিজের গাড়ি চালাতে চায় তাহলে তার জন্য পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্বাচন করতে হবে। 

(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? : যখন কোন ব্যক্তি নিজের গাড়ি চালাতে চায় তার জন্য অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রযোজ্য হবে। কিন্তু তিনি নিজের গাড়িতে ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন না।

এ অংশে আবেদন কারীর প্রকৃতি অনুযায়ী “পেশাদার” অথবা “অপেশাদার” -এ টিক দিবেন এবং অন্যটি কেটে দিবেন।  

৪। ব্যক্তিগত তথ্যঃ

লার্নার লাইসেন্স আবেদন ফর্মের ১ - ৩ নং ক্রমিকে সুস্পষ্ট অক্ষরে বাংলায় এবং এর পাশাপাশি / নিচে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে আপনার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে। ফরমটি বাংলায় হওয়া স্বত্বেও আপনার নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে না দিলে বিআরটিএ অফিসে যে সকল অপারেটর আছে তারা প্রায়শই ইংরেজি বানানে ভুল করে। যার ফলে অনেক সময় অহেতুক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। আরও উল্লেখ্য যে, আবেদনকারীর নাম ও পিতার নাম জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম সনদ অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক।

৫। অন্যান্য তথ্য:

ক্রমিক নং ৪(ক) তে আপনার জন্ম তারিখ খিতে হবে যা জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম সনদ অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক। 

ক্রমিক নং ৪(খ)-তে আপনার রক্তের Group লিখতে হবে। (জাতীয় পরিচয়পত্রে রক্তের  Group থাকলেও অনেকসময় বিআরটিএ অফিস কর্তৃপক্ষ রক্তের Group পরীক্ষার রিপোর্টও চেয়েছেন এমন শোনা গেছে। কাজেই রক্তের Group পরীক্ষার রিপোর্ট সাথে থাকলে ভাল হয়।) 

ক্রমিক নং ৫: নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ক্রমিক নং ৫-এ কিছু লিখার প্রয়োজন নেই বা প্রযোজ্য নয়।

ক্রমিক নং ৬: শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ০৬(ছয়) মাস। ০৬(ছয়) মাস পর পুনরায় নতুন লার্নার লাইসেন্স নিতে হয়। সেক্ষেত্রে ক্রমিক নং ৬ এ পুরাতন লার্নার লাইসেন্স নাম্বার ও ইস্যুর তারিখ লিখতে হবে।

ক্রমিক নং ৭: ক্রমিক নং ৭ ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের নাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যার কাছ থেকে ড্রাইভিং শিখছেন বা শিখবেন তার নাম ঠিকানা। মোটরসাইকেল চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে এটি না লিখলেও চলে।

ক্রমিক নং ৮: ক্রমিক নং ৭ এ প্রদত্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার ও ইস্যুর তারিখ লিখতে হবে। ক্রমিক নং ৭ প্রযোজ্য না হলে ক্রমিক নং ৮ ও প্রযোজ্য হবে না।

৬। তারিখ ও স্বাক্ষর: 

এ অংশে তারিখের জায়গায় যে দিন ফরম জমা দিবেন সে তারিখ ও ডান পাশে প্রার্থীর তিনটি স্বাক্ষর দিতে হবে।

এ পর্যন্ত লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরমে প্রথম অংশ সম্পন্ন হলো। এবার দ্বিতীয় অংশে ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পূরণ করে নিয়ে গেলে ডাক্তারের জন্য সুবিধা হবে। ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পূরণের পদ্ধতি জানার জন্য “শিক্ষানবীশ বা লার্নার ড্রাইভিং ফমর কি ভাবে পূরণ করব? (দ্বিতীয় অংশ : ডাক্তারি সনদ বা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট)” পোস্টটি দেখার অনুরোধ রইল।



বি:দ্র: কোন ধাপ বুঝতে অসুবিধা হলে বা এ ধাপগুলোর মধ্যে কোন অসংগতি দেখা দিলে দয়া করে নিচে কমেন্ট করুন।

No comments:

Post a Comment

Baidu WiFi Hotspot v5.1.4.59374 | Download | Free Wifi Hotspot software

Baidu WiFi Hotspot v5.1.4.59374 Author: Baidu, Inc. License: Freeware OS: Windows XP/Vista/7/8 (32-Bit/64-Bit) Download Latest Version (5.1...